৯৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ বিভাগ।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে লালবাগ এলাকা থেকে ২৬ জন ও তেজগাঁও বিভাগ এলাকা থেকে ১৯ জন। গুলশান বিভাগ এলাকা থেকেও চার ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঢাকার ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে কারা ছিনতাই করে তাদের চিহ্নিত করছি। তাদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ফুট পেট্রোল, গাড়ি পেট্রোল এবং মোটরসাইকেল পেট্রোল অব্যাহত রয়েছে। এখন শীতের রাত, গভীর রাতেও ছিনতাই হচ্ছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার যেসব গাড়ি ঢাকায় আসছে সেসব গাড়ির যাত্রীদের থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
মোবাইল পেট্রোগুলো যেন ঠিকঠাক কাজ করে এজন্য পুলিশের প্রত্যেক বিভাগের ডিসি, এডিসি ও এসিকে নজরদারি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক রাতে তারা গাড়ি নিয়ে মুভে থাকছে এবং তদারকি করছে। এছাড়া ডিএমপি কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়ারলেসে পেট্রোগুলোর লোকেশন নেওয়া হচ্ছে এবং তারা সজাগ আছে কি না সেটিও তদারকি করা হচ্ছে।
যারা এসব ছিনতাইয়ের কাজে অভ্যস্ত তাদের আদালতে প্রেরণ করলে তারা অতি সহজেই জামিনে বের হয়ে আসছে এবং আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা মহানগরীতে ২ কোটির মতো মানুষের বসবাস। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এসব ছিনতাইকারী যেন সহজে জামিন না পায় এজন্য আদালত বা সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির রমনা বিভাগ এলাকা থেকে ৮ জন, মতিঝিল বিভাগ এলাকা থেকে ১৪ জন, লালবাগ বিভাগ এলাকা থেকে ২৬ জন, ওয়ারী বিভাগ এলাকা থেকে ১০ জন, তেজগাঁও বিভাগ এলাকা থেকে ১৯ জন, মিরপুর বিভাগ এলাকা থেকে ৪ জন, উত্তরা বিভাগ এলাকা থেকে ৮ জন ও গুলশান বিভাগ এলাকা থেকে ৪ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকায় রোববার বিকেলে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আল-আমিন (২৫), মো. ফয়সাল হোসেন (২০), মো. রবিন হোসেন (২৫) ও মো. ইমন হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানার একটি দল।
আগারগাঁওয়ের ফুল মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে তিনটি চাকুসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- জুয়েল (২২), মনির (৩৫), ইমান (২২) ও আশিক (২৫)।
এছাড়াও রাতে আদাবর থানার মোবাইল টিম তিনটি স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মোট পাঁচজন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে।