ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাসিন্দা রমেশ কুমার। তার শখ ছিল কালো কুচকুচে একটা ঘোড়া কেনার।সে অনুযায়ী তেমনই একটি ঘোড়া খুঁজছিলেন তিনি। ঘোড়া কেনার জন্য তিন ঘোড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করেন রমেশ।
রমেশ ব্যবসায়ীদের কাছে তার চাহিদার কথা জানান। কালো কুচকুচে ঘোড়া তাকে জোগাড় করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন ব্যবসায়ীরা।
যেমন কথা, তেমন কাজ। একটি ঘোড়া নিয়ে এসে রমেশের কাছে হাজির হন জিতেন্দ্র পাল সিংহ সেখোঁ, লখিন্দর সিংহ এবং লাচরা খান নামে ওই তিন ব্যবসায়ী।
ঘোড়াটি দেখে বেশ আনন্দিত হয়েছিলেন রমেশ। যাক, মনের মতো ঘোড়া তো পাওয়া গেল! ঘোড়া দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রথমে নগদে সাত লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন তিনি। পরে বাকি টাকার দু’টি চেকে দেন। মোট ২৩ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীদের দিয়েছেন রমেশ।
বিপত্তি ঘটল এর পর। কাহিনি মোড় নেয় ঘোড়াকে গোসল করাতে গিয়ে।
ঘোড়া কেনার কিছুদিন পর যখন সেটিকে গোসল করাচ্ছিলেন রমেশ। তিনি খেয়াল করলেন আশ্চর্যজনকভাবে ঘোড়ার শরীর থেকে কালো রঙ উঠছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন হয়তো ঘোড়ার গায়ে ময়লা জমেছে। কিন্তু ভুল ভাঙে একটু পরেই। যত তিনি জল দিয়ে ঘোড়ার গা ধুচ্ছিলেন ততই কালো রং উঠে আসছিল।
একটা সময় দেখা যায় ঘোড়ার গায়ের রং লাল হয়ে গিয়েছে। ছিল কালো ঘোড়া, পানি ঢালতেই হয় গেল লাল! এমন অবস্থা দেখে রমেশের আর বোঝার বাকি ছিলনা যে কত বড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
এমন ঘটনার পর পুলিশের কাছে গিয়ে ওই তিন প্রতারকের (ব্যবসায়ী) নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন রমেশ।