রেলওয়ের জমি বন্ধক দেখিয়ে ১৮৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনসহ ছয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট বা অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিগগিরই দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
অনুমোদন করা চার্জশিটে অপর আসামিরা হলেন- রূপালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখা প্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচ আর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান।
তবে মামলায় ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাসকে আসামি করা হলেও চার্জশিটে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকী দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রেখেছেন। যার বিপরীতে ব্যাংকের শিল্প ঋণ বিভাগ থেকে দুই দফায় মঞ্জুরি করা ৭৬ কোটি ও ২০ কোটি টাকাসহ মোট ৯৬ কোটি টাকার মধ্যে ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা ছাড় করা হয়। এই ঋণে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদ প্রযোজ্য হয়েছে ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ১৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে অনুমোদন করা চার্জশিটে।
আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।
পিএসএন/এমঅাই