হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন এমন প্রায় ৯০ জন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নাগরিকের ওপর ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার কোম্পানি ‘প্যারাগন সলিউশনস’ নজরদারি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যাপটি।
শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কিছু ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জানতে পারার পর প্যারাগনকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে মেটা মালিকানাধীন কোম্পানিটি।
এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে, “মানুষের ব্যক্তিগত যোগাযোগের সক্ষমতা রক্ষার কাজ অব্যাহত রাখবে তারা।”
এ বিষয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ইডিপেনডেন্টের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দিতে রাজি হয়নি প্যারাগন।
হোয়াটসঅ্যাপের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের প্ল্যাটফর্মের প্রায় ৯০ জন ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালায় প্যারাগন, যা শনাক্ত করতে পেরেছেন তারা।
এদিকে, সুনির্দিষ্টভাবে কাদের ওপর নজরদারি চলেছে বা ভৌগলিকভাবে কোথায় কোথায় এ নজরদারি চলেছে তা জানাতে অস্বীকার করেন হোয়াটসঅ্যাপের ওই কর্মকর্তা। তিনি কেবল বলেছেন, এ নজরদারি চালানো হয়েছে বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ ও মিডিয়ার কিছু ব্যক্তির ওপর।
তিনি আরও বলেছেন, তখন থেকেই ব্যবহারকারীদের ওপর প্যারাগনের এ হ্যাকিং প্রচেষ্টা বানচালের চেষ্টা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। পাশাপাশি এ হামলার ডেটা কানাডার ইন্টারনেট ওয়াচডগ গ্রুপ ‘সিটিজেন ল্যাব’কেও পাঠিয়েছে তারা।
হ্যাকিংয়ের জন্য প্যারাগনই দায়ী তা কীভাবে নিশ্চিত হওয়া গেল সে বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও শিল্প অংশীদারদের এ হামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। এর বেশি বলতে রাজি হননি তিনি।
এ নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্টর মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
কানাডার ইন্টারনেট ওয়াচডগ গ্রুপ ‘সিটিজেন ল্যাব’-এর গবেষক জন স্কট-রেলটন বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে প্যারাগন স্পাইওয়্যারের এই নজরদারি “মনে করিয়ে দেয় যে, ভাড়াটে স্পাইওয়্যারের সংখ্যা বাড়ছে। তাই হ্যাকিংয়ে ব্যবহৃত নানা পরিচিত ধরন দেখতে পাচ্ছি আমরা।”