প্রায় দুই বছরের বেশি সময় পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ২০২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ ৫৪ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৭ জুন ৩৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী নতুন এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদ্রিস।
তিনি বলেন, আগের যে কমিটি ছিল, সেটি বর্ধিত করা হয়েছে। ২০২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আজ অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন কমিটিতে বিতর্কিত অনেক সদস্যকে রাখা হলেও এবারও জায়গা হয়নি আলোচিত মাওলানা মামুনুল হকের। তবে কমিটিতে ফিরেছেন হেফাজতের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে ইউসুফ মাদানি। দুই বছর আগে সহিংসতার মামলার আসামি ও নেজামে ইসলামের নেতা হারুণ ইজাহার ও আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর নেতা আবদুর রব ইউসুফী ও জুনায়েদ আল হাবিব, খেলাফত মজলিসের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন। জায়গা পেয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রয়াত নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীর জামাতা মাওলানা সাখাওয়াত রাজীও।
এর আগে গত ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে বাদ পড়া এসব আলোচিত-সমালোচিত এবং বির্তকিত নেতাদের ফেরাতে বর্তমান কমিটির মহাসচিব সাজিদুর রহমানকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব-কমিটি গঠন করে হয়েছিল।
হেফাজতের কমিটির প্রকাশিত তালিকায় ২০২ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও বাদ পড়া আরও অনেকে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। কারণ সাধারণ ২১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়ে থাকে সংগঠনটির।
২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফরকে কেন্দ্র করে সংঘাতের পর প্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্ত করেছিলেন। এরপর নতুন আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল।
দেড় মাসের মাথায় আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির পদে রেখে ৩৩ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আলোচিত মাওলানা মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ যারা সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তাদের রাখা হয়নি।
পিএসএন/এমঅাই