মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালল ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রোববার দেশটির দিকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইয়েমেনভিত্তিক ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।
আজ সোমবার টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও এই হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফ জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয় এবং ‘ইন্টারসেপ্টর’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তবে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা গেছে কি না, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি বাহিনীটি।
হামলার সময় জেরুজালেম, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎই সাইরেন বেজে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে, যারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে যান। এএফপি জানিয়েছে, তাদের জেরুজালেম প্রতিনিধি বিস্ফোরণের শব্দও শুনেছেন।
পরিস্থিতি কিছু সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে জনজীবন। সাইরেন বাজানো হয়েছিল মূলত নাগরিকদের সতর্ক করতে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও বিস্তৃত হতে পারে। বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের জবাবে হুতি বিদ্রোহীদের এই প্রতিক্রিয়া যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত হুতিরা ২০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু ইসরায়েল নয়, হুতিরা এর আগে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজকেও একাধিকবার হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক বৈঠকে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও তাদের মদদদাতা ইরানের হুমকি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।