গত মঙ্গলবার গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে হিজবুল্লাহ। একইদিন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, হিজবুল্লাহ এখন একটি নেতৃত্বহীন সংগঠন। তাদের এখন কেউ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেই।
তবে এ নিয়ে একমত নয় রাশিয়া। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার পরও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর চেইন অব কমান্ড অক্ষত রয়েছে।
বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেন, ‘হিজবুল্লাহ তাদের সংগঠনকে এখনো সুসংগঠিত রেখেছে এবং তাদের সামরিক কাঠামোতে কোনো ধস নামেনি’।
মারিয়া জাকারোভা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন অনুসারে, হিজবুল্লাহ এবং তাদের সামরিক শাখা তাদের চেইন অব কমান্ড হারায়নি। তারা তাদের সংগঠিত ক্ষমতা প্রদর্শন করতে সক্ষম’।
রাশিয়া মুখপাত্র আরো বলেন, ‘দামেস্কের জনবহুল এলাকায় ইসরাইল মিসাইল হামলা চালিয়ে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এটি তাদের একটি জঘন্য কার্যক্রম, যা গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় নিয়মিতভাবেই ঘটছে। এর মাধ্যমে ইসরাইল এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়াতে চাচ্ছে’।
এর আগে মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহর সক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়েছি। আমরা তাদের হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি। যার মধ্যে (হাসান) নাসরুল্লাহ নিজেও রয়েছেন। নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি এবং তার উত্তরসূরির উত্তরসূরিও নিহত হয়েছেন।’ তবে পরের দুজনের নাম উল্লেখ করেননি নেতানিয়াহু।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ হিজবুল্লাহ বহু, বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে’।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছরের সীমান্ত সংঘর্ষের পর, এখন লেবানের অভ্যন্তরে ইসরাইলি আক্রমণ বেড়েই চলছে লেবাননে। গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রক্সিবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন। গাজায় হামাসের সমর্থনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়ে আসছিল হিজবুল্লাহ।
এদিকে হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করেছে, গাজার বৃহত্তর সংঘাতের সমাধান না করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ধারণা তারা সমর্থন করে না।