সম্প্রতি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে হলিউডে বাড়ছে অস্থিরতা। শুরু হয়েছে ধর্মঘট। চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে সেই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন হলিউডের অভিনেতাদের ইউনিয়নও। কার্যত কাজ বন্ধ হলিউডে। অভিনেতাদের দাবি, অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি অভিনেতাদের ন্যায্য টাকা দিচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘটের রাস্তাতে হাঁটা শুরু করে হলিউড অভিনেতারা। যার জেরে কার্যত কাজ বন্ধ হয়ে গেছে ইন্টাস্ট্রির। কয়েক লাখ মানুষ এই অভিনেতা ইউনিয়নের অংশ। আপাতত তারা কেউ কাজ করবেন না।
বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক স্টুডিও-র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে অভিনেতা ইউনিয়নের। কিন্তু ইউনিয়নের প্রতিটি দাবি মেনে নিতে পারেনি স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। অভিনেতাদের দাবি, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী ইনসেনটিভ দিতে হবে। আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলি ভিউ অনুযায়ী অভিনেতাদের ইনসেনটিভ দিত।
ইউনিয়নের অভিযোগ, নেটফ্লিক্স-সহ অন্যান্য অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি ভিউয়ের হিসেব পর্যন্ত দেয় না। ফলে কোনটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তা বোঝাও যায় না। ইনসেনটিভও দেওয়া হয় না।
এর আগে, গত মে মাস থেকে হলিউডের লেখকরা ধর্মঘট শুরু করেন। সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার একসঙ্গে ধর্মঘটে নামেন। বেতনবৃদ্ধিসহ একাধিক দাবি করেন তারা।
৬৩ বছর পর এভাবে হলিউড ইন্ডাস্ট্রি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। ১৯৬০ সালে শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। বস্তুত, স্ট্রাইক শুরু হওয়ার খবর পেয়ে লন্ডনে ওপেনহাইমারের প্রিমিয়ার শো ছেড়ে অভিনেতাদের বেরিয়ে যেতে দেখা হয়। হলিউডের সমস্ত স্তরের অভিনেতা এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন বলে ইউনিয়ন দাবি করেছে।
ইউনিয়ন জানিয়েছে, এর ফলে একদিকে যেমন শুটিং বন্ধ থাকবে, অন্যদিকে বড় বড় ছবির প্রিমিয়ারে অভিনেতারা উপস্থিত হবেন না। ছবির প্রোমোশনেও তাদের দেখা যাবে না। এর অর্থ, বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েও প্রোমোশনে যেতে পারবে না।