করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৪ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে তবে পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল পণ্য ও ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী বহনকারী পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আর কোনোভাবেই উদাসিনতা দেখানোর সুযোগ নেই। হাটবাজারে, ফেরি ও লঞ্চঘাট এবং বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য জায়গায় গেলে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
লকডাউন কার্যকর করার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, জীবনের থেকে জীবিকা কোনোভাবেই বড় নয়। আগে নিজে বাঁচুন এবং পরিবারকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।
অসহায় মানুষদের নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি।
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না।
সারাদেশে সীমিত আকারে ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামান্য উদাসিনতায় দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় নিয়ে যাবে। তাই নিজের জন্য হলেও শতভাগ মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।