স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, জানুয়ারি মাস থেকে বলে আসছিলাম বেপরোয়া চলাচল না করার জন্য কিন্তু মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ড্যামকেয়ার ভাব দেখা দিয়েছিলো। বিনোদনকেন্দ্র, সমুদ্রসৈকত, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে-সাদি ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দেশে আজ করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপর আলোচনা সভায় মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আগে ভালো ছিলাম, এখন খারাপ অবস্থায় আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শর্তসাপেক্ষে ১৮টি নিদের্শনা দিয়েছেন, এই নির্দেশনা সবাইকেই মানতে হবে। নির্দেশনা শিথিল করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণকে নির্দেশনা মানানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জন-প্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করলে আমরা আবারও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবো। এছাড়া যারা করোনা পজিটিভ হবেন তাদের বাড়িতে লাল পতাকা উড়াতে হবে এবং হোম কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৮ নির্দেশিকার উপর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, ডায়াবেটি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, কাউন্সিলর তছলিম হৃদয়, শহর বনিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু, বস্ত্র মালিক সমিতির অনুপ সাহা, মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি মাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।