সংসার সুখের করতে নারী ও পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান রাখা জরুরি। যুগ যুগ ধরে সংসারের কর্তা হিসেবে পুরুষকেই বিবেচনা করা হয়। সংসারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব তার উপরই বর্তায়। যদিও বর্তমান চিত্র কিছুটা ব্যাতিক্রম।
কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ দু’জনেই সরব। সেইসঙ্গে সংসারে তারা সমানভাবে অবদান রেখে চলেছেন। তবুও পুরুষরা যেহেতু বেশিরভাগ সময় সংসারের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করে থাকেন, এমনকি সংসারের জন্য দিন-রাত কষ্ট ও পরিশ্রম করে থাকেন তাই আজকের দিনটি তাদের জন্যই।
প্রতি বছরের এপ্রিল তৃতীয় শনিবার পালিত হয় ‘ন্যাশনাল হাজবেন্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা ‘জাতীয় স্বামী সাধুবাদের দিন’। সংসারে স্বামীর যতটুকুই অবদান থাকুক না কেন, আজকের দিনে অন্তত তার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে প্রশংসাসূচক মন্তব্যে তাকে অভিবাদন জানান।
এ দিনের সূচনা যেভাবে
অতীতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে স্বামীদেরকেই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত। নারীরা ঘরের ভেতরের কাজগুলো সামলাতো আর পুরুষেরা পরিবারকে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে প্রতিদিন ঘরের বাইরে কাজে বের হত।
তবে বর্তমান বিশ্বে একটি পরিবারে একজন উপার্জনকারীর অর্থে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে নারীরাও তাদের নিজ মেধা ও গুণে কর্মক্ষেত্রে বিচরণ করছে। বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবারেই নারী ও পুরুষ কর্মক্ষম। তবুও সংসারে প্রতি স্বামীর দায়িত্ব স্ত্রীর থেকে অনেকটাই বেশি।
পরিবারের অর্থনৈতিক দিক সামলানোর পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানের দায়িত্বও সমানভাবে পালন করে থাকেন পুরুষেরা। তাদের ভালবাসা এবং সমর্থনকে সাধুবাদ জানাতেই প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ন্যাশনাল হাজবেন্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে পালিত হয়।
তাই এ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠুন আজ। ছোট-বড় যেকোনো কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে অভিবাদন দিন। আজ তার সঙ্গে কিছুটা মধুর সময় কাটাতে যা করবেন-
স্বামীকে একদিনের জন্য ছুটি দিন: আজকের দিনেই যে স্বামীকে ছুটি দিবেন তা কিন্তু নয়, যেকোনো একদিন স্বামীকে তার সব কাজকর্ম বন্ধ করে ছুটি দিন। ঘরের কোনো কাজ করতেও নিষেধ করুন।
তাকে ইচ্ছে মতো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সিনেমা দেখতে বা কোনো খেলা দেখার জন্য উত্সাহ দিন। তাকে তার ইচ্ছেমতো সময় কাটানোর জন্য ছুটি দিন। সেদিন তাকে মুক্ত করে দিন!
স্বামীর মনের কথা জানুন: বছরের কোনো একটি দিন কখনোই স্বামী/স্ত্রীর প্রশংসার জন্য হতে পারে না। প্রতিদিনই প্রশংসা করা যেতে পারে। বিশেষ এ দিনে স্বামীকে প্রেমের কথা বলুন। পুরনো দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তাকে প্রশংসা জানান।
আলিঙ্গন করুন: স্বামীকে প্রশংসাসূচক বাক্য বলে তাকে জড়িয়ে ধরুন। তার দীর্ঘায়ু ও কাজের উন্নতির জন্য শুভকামনা জানাতে ভুলবেন না। সংসারে তার উপস্থিতি কতটা প্রয়োজনীয় তা বোঝানোর চেষ্টা করুন এদিনে।
স্বামীর সময় দিন: ব্যস্ততা প্রতিদিনই থাকবে। নারীদের কর্মব্যস্ততা সবসময়ই! তারপরও আজকের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে স্বামীকে সময় দিন। তার সঙ্গে একান্ত কিছু মুহূর্ত কাটান।
সারপ্রাইজ দিন: স্বামীকে এদিন সারপ্রাইজ দিতে পারেন। ঘরের যেকোনো স্থানে একটি নোটে প্রেমবার্তা লিখে রাখতে পারেন। চাইলে উপহার দিয়েও তাকে প্রশংসা জানাতে পারেন।
প্রিয় খাবার রান্না করুন: স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করে তাকে চমকে দিন। চাইলে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এনেও খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় তাকে রান্না করে খাওয়ালে। এতে আপনার স্বামী অনেক খুশি হবেন!
আপনি যেভাবেই দিনটি উদযাপন করুন না কেন, অবশ্যই স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন আপনার জীবনে এবং সংসারের প্রতি তার অবদান কতটুকু।