বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারত করোনার টিকা দেওয়া বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশের জন্য আপাতত ভয়ের কিছু নেই। নতুন টিকা আমদানির বিষয়ে কথা চলছে এবং করোনা টিকার ২য় ডোজ হিসেবে স্পুতনিক বা সিনোফার্মের টিকা দেওয়া যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিএসএমএমইউ এর ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনার টিকা অনেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে অনেকে এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না- এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডা. শারফুদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আমরা একটা মিটিং করেছি। উচ্চ পর্যায়ের মিটিং হয়েছে এটা নিয়ে। সেই উচ্চ পর্যায়ের মিটিং থেকে আমরা একটা কমিটি করেছি। সেই কমিটি পর্যালোচনা করবে। দ্বিতীয় ডোজটা স্পুতনিক থেকে দেওয়া যায় কি না সেটি আমাদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করবে। তবে হয়তো দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত ছাড়া আমার বলা ঠিক না।
‘দ্বিতীয় যে ব্যাপার, তা হলো (ভারতের টিকা) অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্যাপারে আমরা যে ভয় পাচ্ছি, তাতে ভয়ের কারণ নাই। ভারত থেকে না আসলেও আমরা দুবাই অথবা কোরিয়া থেকে এটা আনার ব্যাপারে কথা চলছে। ওভারঅল মে পর্যন্ত যেহেতু আমাদের ২য় ডোজ দেওয়া যাবে, সেহেতু হতাশার কোনো কারণ নেই। এর মধ্যেই আমরা রিপোর্ট পেয়ে যাবো। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসছে কি না অথবা স্পুতনিক বা সিনোফার্মের টিকা থেকে ২য় ডোজ দেওয়া যাবে কি না। যদি এটার রেজাল্ট পেয়ে যা, তাহলে তো ভালো।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন বলেন, কোনো কোনো আর্টিকেলে বলা আছে, এটা হয়তো দেওয়া যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞ মতামত ছাড়া এটা বলা ঠিক না, তবুও আশা করছি এটা সম্ভব।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।