মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমের মালিকানা পরিবর্তনে সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে গ্রাহকস্বার্থ বিরোধী বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলেন, সময় কমিয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকেই সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি বিটিআরসি মুঠোফোন অপারেটরদের দাবির প্রেক্ষিতে সিমের মালিকানার সময় কমিয়ে এনেছে। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া দরকার ছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। আগে অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রির বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন। এরমধ্যে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। আর এখন রিসাইক্লিংয়ের সময় হচ্ছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন (কম-বেশি)। আর নোটিশ পিরিয়ড থাকছে ৩০ দিন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রবাসে থাকা গ্রাহকদের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। এমন সিদ্ধান্তে যে সকল প্রবাসী দুই-তিন বছর পর দেশে ফিরে আসবে তারা ঝামেলায় পড়বে। কারণ, তাদের পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এমনকি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরসহ সকল জায়গায় যে মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি দেখা যাবে, অন্য কোনো ব্যক্তি তার ওই নাম্বার ব্যবহার করে। যার ফলে গ্রাহকের ভোগান্তি পোহাতে হবে। রোমিং সেবা সহজ না হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।
তাই এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বানও জানান তিনি।