প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার ও তাদের ৭ সন্তানসহ পরিবারের ১৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের তালিকায় থাকা জয়নুল হক ও মনোয়ারা সিকদারের ৭ সন্তান হলেন– রিক হক সিকদার, রন হক সিকদার, দিপু হক সিকদার, মমতাজুল হক সিকদার, পারভীন হক সিকদার, নাসিম সিকদার ও লিসা ফাতেমা হক সিকদার। নাসিম সিকদারের মেয়ে মনিকা খান সিকদার, রিক সিকদারের দুই ছেলে শন হক সিকদার ও জন হক সিকদার। তাদের পরিবারের সদস্য সালাহউদ্দিন খান, জেফরী খান সিকদার ও মেন্ডি খান সিকদার। তাদের নামে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হলে সে হিসাবও ফ্রিজ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ব্যক্তি, তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারার আওতায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অর্থপাচার, অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ উত্তোলন ঠেকানোসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয় বিএফআইইউ।ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অনেকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ অনেকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে সংস্থাটি। বিএফআইইউ ছাড়াও দুদক, এনবিআরসহ বিভিন্ন সংস্থা অর্থপাচার, রাজস্ব ফাঁকি, ব্যাংক লুটসহ বিভিন্ন অনিয়ম–দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।