সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে লক্ষ্য করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্ট এলাকায় ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এ সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে চড়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
৬টা ৫৩ মিনিটে আদালত ভবনে ঢোকার মুখে আইনজীবীরা তাদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন। কয়েকটি ডিম সরাসরি তাদের গায়ে পড়ে। তাদের দুজনের মাথায়ই হেলমেট ছিল। এক পর্যায়ে সালমান এফ রহমান বিরক্ত হয়ে পেছনে তাকান।
নিউমার্কেটের দোকান কর্মচারী মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার করে তাদের বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আদালত এলাকায় নিয়ে আসার পরপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা শুরু হয়। যদিও গাড়ি বহরের শুরুতে থাকা প্রিজন ভ্যানে তারা ছিলেন না। তাদের কালো রঙের মাইক্রোবাসে আনা হয়। এসময় সামনে পেছনে পুলিশের আরও বেশ কয়েকটি গাড়ি ছিল।
এর আগে সিএমএম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা দিতে বিকেল ৫টা থেকে অবস্থান নেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।
দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুরান ঢাকার সিএমএম কোর্ট এলাকায় দেখা যায়, সিএমএম কোর্টের গেটে গোটা বিশেক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের পেছনে অপেক্ষা করছেন শতাধিক আইনজীবী। তাদের বেশিরভাগের হাতে আছে ব্রয়লার মুরগির বাদামী রঙের ডিম। কেউ কেউ হাত আড়াল করে বা পকেটে রেখেছেন!
ডিম হাতে নিয়ে অপেক্ষারত কয়েকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে এই দুই ব্যক্তি মানুষকে মানুষ মনে করেননি। নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক নিরীহ মানুষকে কষ্ট দিয়েছেন। তাই তাদেরও কষ্ট পাওয়া প্রয়োজন। তাদের প্রতি আমাদের যে ঘৃণা সেটা প্রকাশ করার জন্য তাদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করা হবে।
গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা গা ঢাকা দেন। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে আটকে দেওয়া হয়।