দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে ঘরের মাটি থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। নানা কারণে সেই টেস্ট আর খেলা হয়নি তার। সামনে দেশের মাটিতে খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারবেন কিনা, সেটাও অনিশ্চিত। ঢাকা টেস্ট শেষে আজ চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন, কিন্তু সাকিবের বিদায়ী টেস্ট এখনো আলোচনায়। আজ বোর্ড মিটিং শেষে সাকিব প্রসঙ্গেও প্রশ্ন শুনতে হয়েছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের।
সামনে আফগানিস্তান সিরিজ, এই ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত অবসর নেয়নি সাকিব। তাই স্বাভাবিক ভাবেই স্কোয়াডে থাকতে পারেন তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের নানা ঘটনার কারণে সেটাও অনিশ্চিত। সম্প্রতি সাকিব একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে বলেছেন, বিসিবি যদি চায় তিনি শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে রাজি।
মিরপুরে বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারটা… যেহেতু এখনো দল ঘোষণা হয় নাই, তার মানে সে অ্যাভেইলেবল আছে।’
এরপর বিসিবি সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি একজন সাবেক অধিনায়ক, সাকিবও সাবেক অধিনায়ক। সে ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিল। শেষ টেস্ট কেন খেলতে পারল না? সে আরব আমিরাতে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে চায়…।
প্রশ্ন শুনে ফারুক বললেন, ‘আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনি… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান (তাদের ব্যাপার)। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।’
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এজন্য আমি মনে করেছি, এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।’