বাগেরহাটে বাল্যবিয়ে নিয়ে কিশোরী ও অভিভাবকদের সচেতন করতে ‘সম্ভাবনার উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী এ উৎসবে অংশগ্রহণের পর বাল্যবিয়ে না করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে এ আয়োজন করে।
উৎসবে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শিক্ষা, মৎস্য, কৃষি, খেলাধুলা, ফ্রিল্যান্সিং, মোবাইল গেমিংসহ বিভিন্ন খাতের ২০টি পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের স্টল ঘুরে দেখে শিক্ষার্থীরা। এতে বাল্যবিয়ের কুফল ও সফল মানুষ হওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারে তারা। ভবিষ্যতে বাল্যবিয়ে না করে সফল মানুষ হওয়ার অঙ্গীকারের কথাও জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপায় জানান পেশাজীবীরা।
ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি হিসেবে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ৩০ জন প্রতিনিধি উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। তারা স্টল ঘুরে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। উৎসবে শিক্ষার্থীরা সাদা দেয়ালে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও লিখে জানিয়ে দেয়।
ফকিরহাট উপজেলার নলধা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিউলি আক্তারের ভাষ্য, এ উৎসবে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক এবং কীভাবে একটি মেয়ে ও তার পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়, সে বিষয়টি জানতে পেরেছে।
মেয়ের সঙ্গে আসা আব্দুল কাদের নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তার বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে। এখানে মেয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পেলাম। ’
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের বাগেরহাটের উপপরিচালক সাহেলা পারভীন জানান, সারাদেশে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিপূর্ণ প্রথম তিনটি জেলার মধ্যে বাগেরহাট রয়েছে। জেলার ৯ উপজেলার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। জেলায় প্রথমবারের এ উৎসব হলো।
Leave a comment