একের পর এক সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে ভারতে। এবার একদিনেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৫শ। অপরদিকে একদিনে করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার ৫০১ জন।
এ নিয়ে টানা চারদিন ভারতে দুই লাখের বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটল। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে নতুন করে ১২ লাখের বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। সংক্রমণের শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্নাটক এবং ছত্তিশগড়।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই পাঁচ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১২৩, উত্তরপ্রদেশে ২৭ হাজার ৭৩৪, দিল্লিতে ২৪ হাজার ৩৭৫, কর্নাটকে ১৭ হাজার ৪৮৯ এবং ছত্তিশগড়ে ১৬ হাজার ৮৩।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকটি দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মোদি বলেন, ‘গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলাম, এবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় ঢেউ তার চেয়েও দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে ভারত।’
বৈঠকে শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ এবং টিকা ঘাটতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। তবে নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে দ্রুত মহামারি কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। একদিন আগেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৭ হাজার বেশি।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিভিন্ন রাজ্যে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল জানিয়েছেন পরিস্থিতি খুবই জটিল এবং উদ্বেগজনক। এদিকে কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৮শ জন যা ওই রাজ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৮ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২৮ লাক ৯ হাজার ৬৪৩ জন।