এনভিডিয়া যখন ওয়াল স্ট্রিটের এআই প্রযুক্তির শোরগোল তুলছে, তখন আইফোনের দুর্বল চাহিদা ও বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার চীনে কঠিন প্রতিযোগিতার সঙ্গে লড়াই করছে অ্যাপল।
বাজার মূল্যের রেকর্ড ছুঁয়ে, অ্যাপলকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ কোম্পানি এখন চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া।
বুধবার এনভিডিয়ার বাজার মূল্য তিন লক্ষ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিজেদের প্রতিটি স্টক টেন-ফর-ওয়ান বা একটিকে দশভাগে ভাগ করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এনভিডিয়া, যা আগামী ৭ জুন থেকে কার্যকর করা হতে পারে। এ পদক্ষেপটি ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটিকে সম্ভবত আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
২০০৭ সালে আইফোন প্রবর্তনের পর থেকে স্টিভ জবসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি সিলিকন ভ্যালির আইকন হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। এবার অ্যাপলকে এনভিডিয়ার ছাড়িয়ে যাওয়া সে ধারার পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে বলে লিখেছে রয়টার্স।
এক হাজার ২২৪ ডলারে দিন শেষ করায় অন্তত ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য। ফলে, কোম্পানির বাজার মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১২০০ কোটি ডলারে। অন্যদিকে, অ্যাপলের স্টক শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে বাজার মূল্য থেমেছে তিন লাখ ৩০০ কোটি ডলারে।
মার্কিন শহর রেডমন্ডে অবস্থিত সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। কোম্পানির শেয়ার মূল্য এক দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে মোট বাজার মূল্য হয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার কোটি ডলার।
২০২৪ সালে এনভিডিয়ার স্টক এখন পর্যন্ত ১৪৭ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে মাইক্রোসফট, মেটা প্ল্যাটফর্মস ও গুগলের মালিক অ্যালফাবেটের মতো কোম্পানিগুলো উদীয়মান এআই খাতে নিজেদের আধিপত্য নিয়ে লড়াই করছে। এ কারণে, এনভিডিয়ার এআই চিপওয়ালা প্রসেসরের চাহিদা অনেক বেশি।
গেল ২২ মে এনভিডিয়ার রাজস্ব পূর্বাভাস প্রকাশের পর থেকে কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
শুধু বুধবারেই এনভিডিয়ার বাজার মূল্যে যোগ হয়েছে অন্তত দেড় হাজার কোটি ডলার। আরেক টেক কোম্পানি, সুপার মাইক্রো কম্পিউটার (এসএমসি), যেটি এনভিডিয়া চিপ দিয়ে তৈরি এআই অপ্টিমাইজড সার্ভার বিক্রি করে, তার শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৪ শতাংশ।
এনভিডিয়া যখন ওয়াল স্ট্রিটের এআই প্রযুক্তির শোরগোল তুলছে, তখন আইফোনের দুর্বল চাহিদা ও বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার চীনে কঠিন প্রতিযোগিতার সঙ্গে লড়াই করছে অ্যাপল।
প্রযুক্তির অন্যান্য হেভিওয়েটদের তুলনায় অ্যাপল কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন কিছু বিনিয়োগকারী। তবে, নিজেদের পণ্য ও পরিষেবায় এআই ফিচার যোগ করতে কোম্পানিটি উঠেপড়ে লেগেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।