অনেক বাচ্চারই বারবার মুখে ঘা হয়। সে সময় তারা একদম খেতে চায় না। আর বাচ্চাকে এমন কষ্টে দেখে বাবা-মায়ের মন কেমন কেমন করে। অনেক সময় তারা বুঝে উঠতে পারেন না এই সমস্যা থেকে সন্তানকে বের করবেন।
আজকের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কয়েকটি সহজ সরল ঘরোয়া টোটকাসহ বিস্তারিত জানবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।লবণ পানি দিয়ে কুলিএক গ্লাস পানি গরম করে নিন। পানি মোটামুটি সহনযোগ্য হলে তাতে কিছুটা পরিমাণ লবণ দিন।এ বার এই জলে সন্তানকে কুলি করতে বলুন। তাতেই উপকার মিলবে। কমে যাবে ক্ষত।তবে অনেক বাচ্চাই গরম পানি সহ্য করতে পারে না।সেক্ষেত্রে তাদের ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলি করার পরামর্শ দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। কমে যাবে সমস্যা।মধুআমাদের অতি পরিচিত মধুর রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক গুণ। তাই সন্তান এই ধরনের সমস্যার ফাঁদে পড়লেই তার মুখে লাগান কিছুটা পরিমাণে মধু।
দেখবেন, দুই-একদিনের মধ্যেই তার সমস্যা কমে যাবে। তবে খুব নিম্নমানের মধু খাওয়াবেন না। এই ভুল করলে উপকারের বদলে ক্ষতিই হবে। তাই মধু কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকুন। তাতে খারাপ কিছু আছে কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
দই
অনেক সময় পেটের সমস্যার কারণেও মুখে ঘা হয়। আর সন্তানের পেটের হাল ফেরাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত দই খাওয়াতে হবে। কারণ, দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিকের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান অন্ত্রের হাল ফেরানোর কাজ করবে অনেকটাই। যেই কারণে দই খেলে ভালো থাকে পেট। সেই সঙ্গে বাড়ে ইমিউনিটি। এমনকী মুখের ক্ষতও কমে যেতে পারে। তাই বিপদে পড়লে এই টোটকার শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না।
নিয়মিত খাওয়ান হলুদ
আমাদের অতি পরিচিত হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান শরীরের হাল ফেরানোর কাজ করে। তাই সকলকেই নিয়মিত হলুদ সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত, সন্তানের যদি মুখে ক্ষত তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে তাকে হলুদ খাওয়াতে হবে। এই কাজটা করলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে সে। এমনকী তার পিছু নিতে পারবে না একাধিক জটিল অসুখ।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মুখের ঘা দূর করতে অনেকটাই কাজ করে। তাই সন্তানের মুখে ঘা তৈরি হলে অবশ্যই তার ক্ষত জায়গায় এই তরল লাগান। তাতেই হাতেনাতে উপকার পাবেন। তবে এর পরও যদি সমস্যা না কমে। দিনের পর দিন যদি সমস্যা বাড়তেই থাকে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।