চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনি অথবা রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এছাড়া আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদ কেন্দ্রিক ছুটি। ফলে সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ সচিবালয়ে চলছে ছুটির আমেজ। তাই ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্টে জামিন নিতে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ।
আগামীকাল বুধবার থেকে অফিস-আদালতের ছুটি শুরু। তাই ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ আগাম জামিন নিতে এসেছেন হাইকোর্টে। কেউ এসেছেন পারিবারিক মামলায় জামিন নিতে, কেউবা রাজনৈতিক মামলায়।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক লোকের জামিন শুনানি হয়েছে। এদের মধ্যে ৫০ জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। কেউ পেয়েছেন ৬ সপ্তাহের জামিন, আবার কেউ পেয়েছেন চার সপ্তাহের।
জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন কৃষক ময়েন উদ্দিন (৫৬)। দুপুরে হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে বসে অপেক্ষা করছিলেন। বগুড়ার বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন এর আগে কোনো মামলায় হাইকোর্টে আসেননি। জামিন নিতে এলেও আইনজীবী কে তা জানেন না তিনি। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর দায়ের করা মামলায় আসামি ময়েন। গ্রেফতার আতঙ্কে রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। তাই আগাম জামিন নিতে এসেছেন।
এক আইনজীবীর সহকারী নারগিস জুঁই জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের তিনটি পৃথক জামিন আবেদন রয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের জামিন চাওয়া হয়েছে। এখনো শুনানি হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী জাগো নিউজকে বলেন, শেষ কর্মদিবস হওয়ায় আজ বিপুল সংখ্যক মানুষ জামিন নিতে এসেছেন। আমাদের চেম্বার থেকে সুনামগঞ্জের দুইজনের জামিন আবেদন করেছি। ভারতীয় পণ্য জব্দের মামলায় আসামি তারা।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জামিন আবেদনের শুনানি চলছে।