রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে কথিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলা করে। পরে র্যাব রফিকুলকে গাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন; তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা থেকে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রফিকুলের কাছ থেকে জব্দ করা ফোন তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। এছাড়া আসমা বেগম নামের এক নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি। সেই নারী সম্পর্কে তার ভাবির চাচাতো বোন। ২০১৯ সালের শেষদিকে তিনি ওই নারীকে বিয়ে করলেও তার পরিবারের কেউ তা জানতেন না।
গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে রফিকুল ইসলামকে আটক করেছিল পুলিশ। অবশ্য সেদিন রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলে থাকেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।