খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ইসলাম ধর্মে শিার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ফলে শুরু থেকেই শিার প্রতি মুসলিমদের মনোযোগ ছিল অত্যধিক। শিশুকালকে জ্ঞানার্জনের সূচনাকাল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুকালে অর্জিত জ্ঞান পরবর্তী জীবনের ওপর অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে।
সিটি মেয়র আজ বুধবার বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন-খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ‘‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব’’ বিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আরো বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের কল্যাণে দেশজুড়ে শতাধিক মডেল মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। সেই প্রচেষ্টারই একটি অংশ মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিা কার্যক্রম প্রকল্প বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে মসজিদ অবকাঠামো ব্যবহার করে মসজিদ নিকটবর্তী শিশুদের জাতীয় শিানীতির আলোকে প্রাক-প্রাথমিক ও কুরআন শিা দেয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রাক-প্রাথমিক শিা সম্পন্নকারী শিার্থীর ভর্তির হার বৃদ্ধি ও শিার্থীদের ঝরে যাওয়া রোধ করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পটির আওতায় অধিকাংশই সমাজের অবহেলিত, দরিদ্র ও নিরর জনগোষ্ঠী শিার সুযোগ পাচ্ছেন এবং প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমামগণ শিশু শিার্থীদেরকে বাংলা, অংক, ইংরেজী, আরবী, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিা দিয়ে আসছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন-খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমদ-এর সভাপতিত্বে সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: বজলুর রশীদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মো: আশরাফ আলী এবং সঞ্চালনা করেন ফিল্ড সুপারভাইজার মো: আবুল কাশেম। সেমিনারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, ফিল্ড সুপারভাইজার ও বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।