নিজের নামের পাশে রোহিত শর্মার নামটা দেখে কিছুটা স্বান্তনা পেতেই পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ২০২৩ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ঘরের মাঠে হেরেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ টেস্ট। শ্রীলঙ্কা আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার ছিল ২টি করে। আর ভারতের বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজটা ছিল ভারতের মাঠে।
২০২৩ সালের শুরু থেকে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারা অধিনায়ক ছিলেন বাংলাদেশের শান্ত। মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৪৭ রানের টার্গেট পার করতে গিয়ে ভারত থেমেছে ১২১ রানে। হার জুটেছে ২৫ রানের ব্যবধানে। এই হারের সুবাদে ঘরের মাঠে চলতি চক্রে ৫ টেস্ট হারের স্বাদ পেয়েছেন রোহিত শর্মা।
২০২৩ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনদোর টেস্টে ভারত হেরেছিল ৯ উইকেটে। এরপর চলতি বছরে ইংল্যান্ড হায়দ্রাবাদ টেস্টে ভারতকে হারায় ২৮ রানে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারত হেরেছে ৩ টেস্টে।
৫ হারের পর অন্য এক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন রোহিত শর্মা। ঘরের মাঠে ১৬ টেস্টে অধিনায়ক থেকে ৫ হার এখন তার। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে আর কোনো অধিনায়ক এত দ্রুত নিজেদের মাঠে ৫ টেস্ট হারেননি। সামগ্রিকভাবেই ভারতের হয়ে ঘরের মাঠে টেস্ট হারা অধিনায়কের তালিকায় দুইয়ে চলে এসেছেন রোহিত শর্মা।
চার টেস্ট হারের মাধ্যমে কপিল দেব এবং মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন রোহিত। এবার তাদের ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। সবার চেয়ে বেশি ৯টি হোম টেস্ট হেরেছেন মানসুর আলী খান পাতৌদি।
হ্যান্সি ক্রনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২০০০ সালে সর্বশেষ ঘরের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারের ভারত। এরপর নিজের ঘরে হোয়াইটওয়াশ তো দূরের কথা, পরবর্তী দুই দশকেই কেবল একটি টেস্ট সিরিজ হারে। সেই হারের পর সময়ের হিসাবে এক যুগ এবং ১৮ সিরিজ অপরাজেয় ছিল রোহিত-কোহলিরা। সেই বৃত্ত তো ভেঙেছে–ই, ২৪ বছর হোয়াইটওয়াশ না হওয়ার কীর্তিও তছনছ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।