খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, মানুষ তার কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকে। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ শেখ শহিদুল হক! তিনি যেখানে থাকতেন সেখানেই সংগঠনের কাজ করতেন। তিনি তাঁর কর্মস্থলে থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী। তিনি আরো বলেন, শেখ শহিদুল হক তাঁর আচার ব্যবহারের কারনে এম এম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। যা দলের চরম দুঃসময়ে দলকে সু-সংগঠিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো। তিনি খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আওয়ামী লীগকে সংঘটিত করার অপরাধে তাকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যানতের শিকার হতে হয়েছে। এমনকি রাজনীতি করার কারনে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর সেই পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সাজানো গোছানো একটি পরিচ্ছন্ন দল পেয়েছি। তাদের আত্মত্যাগের উপর দাড়িয়ে আজ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তাঁর ত্যাগ ও কর্ম দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী প্রজন্মকে রাজনীতি করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ের খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক ছাত্রনেতা শেখ শহিদুল হকের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, এনামুল হক, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী, নূর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, আজগর আলী মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি ওয়াদুদ, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাসান ইফতেখার চালু, মীর মো. লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, রনজিত ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ, চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, এম এ নাসিম, নাছরিন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, নজিবুর রহমান নজিব, সাত্তার ভূইয়া, মো. ইমরান হোসেন, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তাপস, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটো, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, নুরজাহান রুমী, কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জলি, আঞ্জুমানয়ারা বেগম, বলাকা রায়, আ. কাদের শেখ, রেজওয়ানা প্রধান, মেহেজাবিন খান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, ইলিয়াস হোসেন লাবু, জব্বার আলী হিরা, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, আব্দুল ওহাব, আজিম, নওশের আলী, মুন্না, ডলার , মাসুমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। স্মরণসভা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।