আসাদুজ্জামান মিলন, শরণখোলা থেকে
শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে সোমবার ভোর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনতা ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। এর মধ্যে একটি বড় ধরনের মুদি দোকান ও দু’টি কাঁচামালের দোকান রয়েছে । আগুন নেভাতে গিয়ে পাশ্ববর্তী আরো একটি বেকারী দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অগ্নিকান্ডে এ চারটি দোকানের প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসগর আলী তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়া রায়েন্দা বাজার কমিটির সাবেক সদস্য ফারুক হোসেন তালুকদার ও ব্যবসায়ী সুমন মোল্লা জানান, সেহরীর কিছু সময় পর ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪ টার দিকে মায়ের সাথে রায়েন্দা খাল থেকে পানি নিতে এসে ব্যবসায়ী কামাল তালুকদারের ছেলে অর্ক (১০) শেরেবাংলা রোডের একটি দোকানে আগুন জ্বলে উঠতে দেখে আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকে । তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে । যার হাতে যা কিছু ছিলো তাই নিয়ে আগুন নিভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিছু সময় শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এ সে আগুন নিয়ন্ত্রন করে । এর মধ্যে উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্র শেরেবাংলা রোডের চান মিয়া তালুকদারের মুদি দোকান, শহীদুল খান ও বাবুল হাওলাদারের কাঁচা মালের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় পাশ্ববর্তী সোহেল মোল্লার বেকারী দোকান টি ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
আগুন নেভাতে গিয়ে চানমিয়া ষ্টোরের মালিক চানমিয়া তালুকদার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ছোট ভাই ইব্রাহিম জানান, রোজা ও ঈদ কে কেন্দ্র করে রবিবার দোকানে ১১ লাখ টাকার মালামাল উঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের দোকানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
পুড়ে যাওয়া তিনটি দোকানের ঘর মালিক জিয়াউল হাসান বাচ্চু তালুকদার বলেন, এ অগ্নিকান্ডে তার তিনটি ঘর সম্পূর্ন পুড়ে গেছে। এতে তার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কাচামাল ব্যবসায়ী শহীদুল খান বলেন, এ দোকানের উপরেই আমার সংসার ও ছেলে মেয়ের লেখা পড়া চলছিলো। আমার সব শেষ।
রায়েন্দা বাজার ব্যবসায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিয়েছি । ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে বাজারের আরো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসগর আলী জানান, তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষয় ক্ষতির বিবরন উপরে জানানো হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্থদের সম্ভাব্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন মুঠোফোনে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রসস্থদের প্রতি সহমর্মীতা জানিয়ে সম্ভাব্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
Leave a comment