শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
পবিত্র রমযান উপলক্ষে শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আন্তঃ ইউনিয়ন সহীহ্ কোরআন তেলাওয়াতের চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বালকদের মধ্যে রায়েন্দা দারুল হেদায়েত নেছারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মোঃ ইমাম হোসেন ও রায়েন্দা বাজার হালিমা তুস সাদিয়া (রাঃ) তাওফিকুল কোরআন মহিলা মাদ্রসার আবিদা খাতুন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল চত্বরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আজমল হোসেন মুক্তা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকরাম হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার উৎকর্ষতা সাধন ও শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জাতির জনকের স্বপ্ন অনুযায়ী বাংলাদেশ হবে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। যেখানে যে যার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করবে। তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম,এ খালেক,ডেপুটি কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, রায়েন্দা রাজৈর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আনোয়ারী, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন খোকন, আসাদুজ্জামান স্বপন, তপু বিশ্বাস, বি,কে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সুন্দরবন দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি শাহিন হাওলাদার, রায়েন্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বালক ও বালিকা গ্রুপে সেরা ছয় জন কর মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এর আগে এ কর্মসূচির অংশ হিসাবে চার টি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় উপজেলার ৯০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে এ সেরা ২৪ বাছাই করা হয়।