লেবাননে ইসরায়েলের জোর হামলার মধ্যে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর দ্বার খোলা রেখেছে।
টিভিতে এক বক্তব্যে হিজবুল্লাহর উপনেতা নাঈম কাসেম বলেছেন, তিনি একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চেষ্টাকে সমর্থন করেন। আর এই প্রথম তিনি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘাত বন্ধের পূর্বশর্ত হিসাবে গাজায় যুদ্ধ অবসানের কথা উল্লেখ করেননি।কাসেম বলেন, হিজবুল্লাহ লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরির লড়াই বন্ধের চেষ্টাকে সমর্থন করে, যে লড়াই সম্প্রতি হিজবুল্লাহ নেতার মৃত্যু এবং লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর প্রেক্ষাপটে বেড়ে গেছে।
টিভিতে ৩০ মিনিটের ভাষণে কাসেম বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতির নামে বেরির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক কার্যকলাপকে সমর্থন জানাচ্ছি।”গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ বলে এসেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লড়াই করছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াইয়ে ক্ষ্যান্ত দেবে না।আর এখন লেবাননের ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে যুদ্ধবিরতির পক্ষে থাকার কথা বলে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
যদিও গোপন স্থান থেকে দেওয়া বক্তব্যে কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলের কাছ থেকে বেদনাদায়ক ধাক্কার পরও হিজবুল্লাহর সক্ষমতা এখনও অক্ষত আছে। তিনি বলেন, “আমরা ইসরায়েলে আঘাত হানছি। আহত করছি। আমরা আরও সময় নেব। তাদের ডজন ডজন শহর প্রতিরোধের অক্ষশক্তির ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আছে।ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় মঙ্গলবারেই হামলা চালিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উপেক্ষা করে হাইফায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ১০০ রকেট। এ হামলায় হাইফায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও কয়েকজন আহত হয়েছে।
ওদিকে, ইসরায়েলও লাগাতার হামলা জারি রেখে হিজবুল্লাহর আরও ক্ষয়ক্ষতি করে গোষ্ঠীটির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর আরেক ঊর্ধ্বতন সদস্যকে ইসরায়েল হত্যার দাবি করেছে।তবে হিজবুল্লাহর উপনেতা কাসেম বলছেন, এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে স্থল হামলা শুরু করলেও তারা এখনও অগ্রসর হতে পারেনি।তিনি বলেন, “কোনও ক্ষেত্রে, যুদ্ধবিরতির বিষয়টি গুরুত্ব পেতে শুরু করলে এবং কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় একবার তা অর্জিত হলে, তখন অন্যান্য আরও বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
“যদি শত্রুরা (ইসরায়েল) যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে রণক্ষেত্রই সিদ্ধান্ত জানান দেবে।”