বিশ্বজুড়ে লিভ ইন সম্পর্ক দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন দেশেও এই সম্পর্ককে বৈধতা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও লিভ ইন সম্পর্ক সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সম্পর্কের ফলে যৌন অপরাধ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে দেশটির মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।
অনেকে কয়েক বছর লিভ ইন সম্পর্কে থাকার পর বিয়ের পরিকল্পনা শুরু করেন। কিছু ক্ষেত্রে আবার লিভ ইনের পর সম্পর্ক ভেঙেও যায়। স্বাভাবিকভাবেই লিভ ইন সম্পর্কে থাকাকালীন যৌন সম্পর্কও স্থাপন করেন অধিকাংশই। ভারতে লিভ ইন সম্পর্ক বা বিবাহ ছাড়াই একসঙ্গে বসবাসের অনুমতি রয়েছে। আর এর থেকেই সমাজে জন্ম নিচ্ছে যৌন অপরাধ।
সম্প্রতি ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। বিচারপতি সুবোধ অভ্যঙ্কর এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ বছরের এক যুবকের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে এই মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্য, লিভ টুগেদারের কারণে সমাজে যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় সংস্কৃতির অবমাননা করে অশ্লীল আচরণ প্রচার করে ও যৌন অপরাধের জন্ম দেয় এই ধরনের সম্পর্ক।
সূত্রের খবর, ওই নারী তার প্রেমিকের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। দুইবার তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রেমিকের চাপে ভ্রূণ নষ্ট করতে বাধ্য হন তিনি। এরপরই সম্পর্ক ভেঙে অন্য একজনের সঙ্গে বাগদান সারেন ওই নারী। এরপরই নারীকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে ওই যুবক। এমনকী হবু শ্বশুরবাড়িতেও ওই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও পাঠিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এরপরই বিয়ে ভেঙে যায় তার। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন তিনি।
সূত্র: আজকাল
পি এস/ এন আই