রাজধানীর রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। পরে খবর পেয়ে রুমের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
রোববার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডিবি সাইবারের এডিসি আজহার মুকুল স্যার আমাকে প্রথমে ফোন করে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যার চেষ্টার লাইভ লিংক দেন। স্যার আমাকে বলেন দ্রুত ওই ছেলের বাসায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
ওসি বলেন, ছাত্রলীগের রামপুরা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এর আগে ছেলেটি থানায় এসেছিল। সেই সুবাদে ছেলেটিকে আমি আগে থেকে চিনতাম। পরে দ্রুত তার বাসার ঠিকানা ম্যানেজ করে ঘটনাস্থলে যাই এবং রুমের দরজা ভেঙে গলায় রশি পেঁচানো মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি। এরপর প্রথমে আমার গাড়িতে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ওই বাসায় কে কে থাকতেন খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তিনি কেন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সে বিষয়েও জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদের ফেসবুকে দেখা যায়, তিনি এক ঘণ্টা আগে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর দুই ঘণ্টা আগে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘আমি আর ফিরব না। তোমাদের ওই অভিনয়ের শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি অনেক দূরে…’।