মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে কঠোর বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ তুলে দিয়ে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ফর্মুলার দিক যাচ্ছে সরকার।
আগামী রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর এমনটাই ভাবা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শুক্রবার বিকেলে বলেন, চলমান ‘লকডাউন’ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনায় রেখে দোকানপাট ও শপিংমলে দেওয়া হচ্ছে। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া কেনাকাটা না করে সে বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে।
দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও গণপরিবহন কবে চলবে- জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৮ এপ্রিল থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিলের পরে আর কঠোর লকডাউন নয়, চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। তবে নিশ্চিত করা হবে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরেই আমাদের চলতে হবে। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া না বের হয়। সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবাই যেন মাস্ক পরে। নো মাস্ক নো সার্ভিস- এ বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে অফিস-আদালত, গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক নির্দেশনায় ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ২২ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়ার দাবি জানায়।
দোকানপাট শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়ার পর পরিবহন মালিকরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালুর দাবি জানিয়েছে।
ঈদের আগে ২৮ এপ্রিলের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকেও আভাস পাওয়া গেছে।