আগেই জানা, টাইগারদের সত্যিকার প্রস্তুতি শুরু হবে ওমানে। কারণ হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ফিজিও এবং ট্রেনার সবাই এখনো ছুটিতে নিজ নিজ দেশে। তারা দলের সাথে যোগ তেবেন ওমানে এসে। সেখানেই ৫ অক্টোবর শুরু হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনীর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন।
এরআগে অবশ্য গত প্রায় ৮/১০ দিন রিয়াদ, লিটন, সৌম্য, মুশফিক, সোহান, আফিফ, তাসকিনরা নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেয়িামে। সেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই অনুশীলন করেছেন।
এদিকে দেখতে দেখতে বয়ে গেল সময়। ঘনিয়ে এলো টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাবার সময়। সব কিছু ঠিক থাকলে, আগামীকাল ৩ অক্টোবর রাত ১০টা নাগাদ চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ওমানের রাজধানী মাসকাট যাবে জাতীয় দলের বহর।
এর আগে করোনা প্রটোকল মেনেই আজ চলছে কোভিড টেস্ট। শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের করোনা ভাইরাস টেস্টের স্যাম্পল কলেকশন।
বিসিবির উদ্যোগে ক্রিকেটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েই চলছে কোভিড টেস্টের কার্যক্রম। বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী শনিবার সকালে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্রিকেটারের কোভিড টেস্ট তাদের বাসাতেই সম্পন্ন হচ্ছে।
আর হাতে গোনা কয়েকজনের টেস্ট বিসিবি অফিসেই হবে এবং সবার টেস্টই আজ দুপুর একটার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। দেবাশীষ চৌধুরী যোগ করেন, শনিবার রাতেই টেস্টের রিপোর্ট তাদের হাতে চলে আসবে।
এদিকে বিসিবি নির্বাচন এবং দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে- সে জন্য বিসিবির কোন পরিচালক যাচ্ছেন না দলের সাথে।
ক্রিকেট অপস ম্যানেজার সাব্বির খান লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে দলের সঙ্গে যাবেন। মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামও শুরু থেকেই দলের সঙ্গী হবেন। এর বাইরে দেবাশীষ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, তিনিও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বহরে চিকিৎসক হিসেবে থাকছেন।