রোজায় শরীরচর্চা করা নিয়ে অনেকের মধ্যেই মতভেদ আছে। কারও মতে এ সময় শরীরচর্চা করার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আবার কারও মতে খারাপ! আবার অনেকেই কোন সময় শরীরচর্চা করবেন, সে বিষয়ে চিন্তিত থাকেন।
তবে যে যা-ই বলুক না কেন বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা নিয়মিত করার বিষয়ে কোনো আপস নয়। রমজান মাসেও তাই আপনি স্বাভাবিক সময়ের মতোই শরীরচর্চা করতে পারবেন। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। তবে রোজায় শরীরচর্চা করার সঠিক সময় কখন, সে বিষয়ে জানা জরুরি।
দুবাইয়ের চিকিত্সক বিশেষজ্ঞ ডা. জাভেদ শাহের মতে, উপবাসের সময় অনুশীলন আমাদের মস্তিস্ক, নিউরো-মর্টার এবং পেশি ফাইবারকে জৈবিকভাবে তরুণ রাখতে পারে। উপবাসের সময় যখন আমরা অনুশীলন করি; তখন এটি আমাদের দেহের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
কারণ দেহের চর্বি জ্বলানোর প্রক্রিয়াগুলো সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অনুশীলনের ফলে শরীরের চর্বিগুলো খাদ্যের অভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। রোজায় অনুশীলন করলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রমজানে অনুশীলন করা বন্ধ করা উচিত নয়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
শরীরচর্চা করার সঠিক সময় কখন?
ডা. জাভেদের পরামর্শ অনুযায়ী, রোজায় ইফতারের পর রাতে তারাবির নামাজ পড়ার পরে শরীরচর্চা করা উত্তম। এ সময় শরীরচর্চা করলে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। শরীরচর্চার মাঝে মাঝে বারবার পানি বা জুস পান করতে
আবার অনেকেই ইফতারের পরপরই বা সাহরির আগে শরীরচর্চা করে থাকেন। তবে সবচেয়ে ভালো সময় হলো ইফতারের ১ ঘণ্টা আগে শরীরচর্চা করা। এ সময় শরীরচর্চা করলে ওজন দ্রুত কমে এবং শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে।
রোজায় কোন ব্যায়ামগুলো করা উচিত?
রোজায় হাই ইনটেনসিভ শরীরচর্চা এড়িয়ে চলা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে নাড়ির হার থাকে ১৫০ এর উপরে। আবার এ ধরনের ব্যায়াম করলে শরীর মুহূর্তেই দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়তে পারেন।
তাই রোজার এ সময় ধীর বা পরিমিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রেডমিলে দ্রুত হাঁটা, স্লো জগিং, সাইক্লিং, ক্রস ট্রেনিং এবং হালকা মেশিনের অনুশীলনগুলো করতে পারেন। পাশাপাশি ইয়োগা ও কার্ডিও করলেও শরীর সুস্থ থাকবে।