রাশিয়ার হয়ে চীনা নাগরিকরা যুদ্ধ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনীয় বাহিনী মস্কোর পক্ষে লড়াই করা দুই চীনা নাগরিককে আটকের ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিন পর তিনি এমন দাবি করলেন। বুধবার (৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেছেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দারা অন্তত ১৫৫ জন চীনা নাগরিক রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে চীনা নাগরিকদের নিয়োগ দিচ্ছে ক্রেমলিন। আর বেইজিং এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত রয়েছে।
‘এটি স্বচ্ছ কাচের মতো পরিষ্কার যে এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং যুদ্ধের জন্য ওই দেশের নাগরিকদের নিয়োগের জন্য বিশেষ করে ওই অঞ্চলে এবং চীনের এখতিয়ারের মধ্যে নিয়মতান্ত্রিক রুশ প্রচেষ্টা,’ জেলেনস্কি আটক ব্যক্তিদের কথা উল্লেখ করে এক্স-এ লিখেছেন।
জেলেনস্কি আরও বলেছেন, চীনা যোদ্ধাদের নাম পরিচয়ের তালিকা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। এখন তারা যাচাই করে দেখছে, নিয়োগপ্রাপ্তরা সরাসরি চীনের আদেশে কাজ করতেন কিনা।
তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এমন দাবি যথাযথভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধ দীর্ঘায়িত ও বিস্তৃত করার জন্য রাশিয়ার কোনো সুযোগ নেই তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে হবে।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জেলেনস্কির দাবি অস্বীকার করেছেন। অপরদিকে, জেলেনস্কির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, চলমান সংকট থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে চীন। আমাদের প্রচেষ্টা ও গঠনমূলক অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনে সরাসরি সহায়তা করেছে বলে জানা না গেলেও মস্কোর সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছে বেইজিং।