ওপার বাংলার ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ ঋতাভরী চক্রবর্তী। পর্দায় ললিতা হিসেবে পথচলা শুরু, এরপর লক্ষ্মী বউ থেকে কলকাতার ক্রাশ- সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন অভিনেত্রী।
ছোট থেকেই মা শতরূপা সান্যালের কাছে বড় হয়েছেন তিনি। বাবা উপলেন্দুর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই তাদের। সদ্যই ৩২ বছর বয়সে পা রাখলেন ঋতাভরী। জন্মদিনে এই তারকার পুরোনো একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রকাশ্যে যৌনতা নিয়ে কথা বলতে কোনওরকম কুন্ঠা নেই ঋতাভরীর। স্রোতের উল্টো পথে হাঁটতেই ভালোবাসেন তিনি। একবার নুসরাত জাহান সঞ্চালিত চ্যাট শো-তে উপস্থিত হয়েছিলেন নায়িকা। সেখানেই সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার মতে, মনের আর শরীরের ক্ষুধায় কোনো পার্থক্য নেই। কাওকে ভেতর থেকে চাইছি, তাকে নিজের করে নিতে কোনো দ্বিধা থাকতে পারে না।’
নিজেকে ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল’ বলে উল্লেখ করেন ঋতাভরী। অর্থাৎ পুরুষের বুদ্ধিদীপ্তার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। বুদ্ধিমান পুরুষ আকৃষ্ট করতে পারে নায়িকাকে।
ঋতাভরীর কাছে নুসরাত প্রশ্ন করেন, ‘সবচেয়ে অদ্ভূত কোন জায়গায় সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছো?’ হাসতে হাসতে নায়িকা বলেন, ‘রান্নাঘরে…তবে নিজের বাড়ির কিচেন নয় অন্যের বাড়ির’।
অভিনেত্রীর এমন উত্তর শুনে চমকে ওঠেন নুসরাত। পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘সব জিনিসগুলো ঠিকঠাক ছিল?’ মাথায় হাত রেখে ঋতাভরীর জবাব- ‘একদম নয়’। আবারও হেসে ওঠেন দুজনেই।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আজও মেয়েদের নিয়ে কাঁটাছেড়া করার প্রবণতা বন্ধ হয়নি, তা ভালোভাবেই জানেন ঋতাভরী। তিনি বলেন, ‘একটা ছেলের একাধিক বান্ধবী থাকলে সেটা নিয়ে সমস্যা হয়না। কিন্তু একজন মেয়ের একাধিক প্রেমিক থাকলে তাকে আজেবাজে তকমা দেওয়া হয়।’
একটা সময় মনোবিদ তথাগতর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন ঋতাভরী। ২০২২ সালে তাদের বিয়ের কথাও পাকা ছিল। আংটি বদলের পর লিভ-ইনে থাকার কথাও জানিয়েছিলেন নায়িকা। তবে আচমকাই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের।
যদিও গত বছর লক্ষ্মীপুজায় ফের কাছাকাছি দেখা যায় তাদের। গত মার্চে তথাগতর জন্মদিনে আদুরে শুভেচ্ছাও জানান ঋতাভরী। জল্পনা, ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লেগেছে। তবে তথাগতর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে আপতত একটা শব্দও খরচ করতে চান না অভিনেত্রী।