রাগলেন তো হেরে গেলেন’ তারপরও রাগ ওঠে। আবার কমেও যায়।
রাগ মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি। জটিল সময়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেয়ে রাগ উঠতেই পারে। আবার রাগা থেকেও অনেকসময় সমাধান বের হয়ে আসে।
তবে বেশিরভাগ সময় রাগ ওঠা। ঘনঘন মেজাজ খারাপ থেকে ক্রোধে উন্মাদ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে।
এরকম পরিস্থিতিতে করণীয় উপায় সম্পর্কে জানানো হল মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
শ্বাস-প্রশ্বাস: নিয়ন্ত্রণহীন রাগ উঠতে থাকলে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিন। গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ফলে পেশি শিথিল হবে পাশাপাশি স্নায়ু হবে শান্ত।
হাঁটা: হাঁটলে রাগ নিয়ন্ত্রণে আসে। পাশাপাশি আড়ষ্ঠ পেশিও শান্ত হয়। তাছাড়া হাঁটার কারণে নিজের বিবেক বুদ্ধিও কাজ করা শুরু করে। ফলে পুনঃবিবেচনা করার মতো পর্যায় তৈরি হয়।
নিজের সঙ্গে কথা বলা: যখন যন্ত্রণাদায় চিন্তাগুলো মনের শান্তি কেড়ে নিতে থাকে তখন রাগ ওঠার সম্ভাবনাও বাড়ে। এই পর্যায়ে নিজেই নিজেকে বলতে থাকুন ‘শান্ত হও’, ‘সহজ হও’, ‘তুমি ঠিকই আছ’। এসব কথা বারবার আওড়ালে মন শান্ত হতে থাকে।
গান শোনা: রাগ কমানোর পরীক্ষিত উপায় সংগীত শোনা। নির্মল সংগীত ও গানের কথা মন শান্ত করতে সাহায্য করে।
পেশি টানটান করা: রাগের কারণে পেশি শক্ত হয়ে যায়। তাই শরীর শিথিল করতে ‘স্ট্রেচিং’ ও ‘জয়েন্ট রিল্যাক্সিং’ ধরনে ব্যায়াম করা যেতে পারে। যা দেহকে আরাম দেবে। মন করবে শান্ত।
একা সময় কাটানো: ফোনে কিংবা সামনা সামনি কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে আগে নিজেকে শান্ত করার জন্য একা সময় কাটান। সেটা হতে পারে নিজের ঘর বা মানুষ ছাড়া কোনো জায়গা। কিছুক্ষণ একা থাকলে মন শান্ত হবে পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার করার বোধবুদ্ধিও ফিরে আসবে।
লিখে রাখা: যদি কারও কর্মকাণ্ড দেখে রাগ ওঠে তবে সেই অনুভূতি লিখে রাখার চেষ্টা করুন। লেখার ফলে মনের বোঝা ও চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। মন শান্ত করার বিকল্প পন্থা হতে পারে লেখালিখি।
বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা: একইভাবে বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সঙ্গে রাগের বিষয়গুলো আলোচনা করতে পারেন। এই পদ্ধতিও রাগ প্রশমিত হয়।
মনকে ইতিবাচক দিকে ফেরানো: পয়সার যেমন দুই পিঠ রয়েছে, তেমনি যে কারণে রাগ হচ্ছে সেটার বিপরীত দিকটাও দেখার চেষ্টা করতে হবে। ক্রোধে উন্মাদ হওয়ার আগেই বিপরীত দিকটা যত সূক্ষ্মই হোক সেটা আবিষ্কার করতে পারলে মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়। ফলে রাগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।
সহানুভূতিশীল: যে মানুষটার কারণে প্রচণ্ড রাগ উঠছে তার জায়গায় দাঁড়িয়ে বরং ভাবুন কেনো সে এরকম করছে। তার পরিস্থিতি বুঝতে পারলে সহানুভূতি জাগবেই। আর সেখান থেকে রাগ পড়ে গিয়ে বরং তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুভূতি জাগতেই পারে।
মন থেকেই দূর করার চেষ্টা: রাগ কোনো ভুল অনুভূতি নয়। তবে মনের শান্তির জন্য অবশ্যই সেটা দূর করতে হবে। ফলপ্রসূ আলোচনা ভালো ফলাফল দিতে পারে। পাশাপাশি মেজানের লাগাম ধরে রাখতে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বন্ধুর সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে।