খাবার যেমন ফ্রিজে রেখে পরে খাওয়া যায় তেমনি রসুনও হিমায়িত করে পরে ব্যবহার করা সম্ভব।
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রসুন সাধারণত অনেকদিন টেকে। তবে রান্নার জন্য কুচি বা খোসা ছাড়ানো রসুনের কোঁয়া বাড়তি হয়ে গেলে সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখা সম্ভব।
আর সুবিধা হল হিমায়িত রসুন ফ্রিজ থেকে বের করে সাথে সাথেই ব্যবহার করা যায়। গলানোর জন্য আলাদা সময় লাগে না।
এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন রন্ধনশিল্পী এরিয়েল ক্লেইন আরও বলেন, “হিমায়িত থাকা অবস্থায় রান্নায় ব্যবহারে রসুনের স্বাদ, গন্ধ বা গঠনে তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না।”
রসুনের কোঁয়া হিমায়িত করার পদ্ধতি
প্রথমে কোঁয়া থেকে সব খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর একটি বেইকিং ট্রে বা শক্ত কিছুর ওপর পার্চমেন্ট কাগজ বিছিয়ে এর ওপর সারি সারিভাবে রসুনের কোঁয়াগুলো বিছিয়ে ফ্রিজের বরফ হওয়ার অংশে রেখে দিতে হবে।
বরফে জমে যাওয়ার পর কোঁয়াগুলো ‘ফ্রিজার’রের জন্য সুবিধাজনক ব্যাগ বা কৌটায় রেখে আবার ফ্রিজে রাখতে হবে।
রসুন কুচি বা বাটা ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি
হিমায়িত রসুন কুচি বা বাটা সরাসরি রান্নায় ব্যবহার করা যায়। এর জন্য যা করতে হবে-
কুচি করা বা বাটা রসুন বরফের টুকরা জমানোর ট্রের প্রতিটি খোপে এক টেবিল-চামচ পরিমাণ মতো নিতে হবে। তারপর প্রতিটাতে অল্প পানি দিয়ে বরফ করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
যখন দরকার হবে তখন হিমায়িত রসুন বাটা বা কুচি রান্নায় সরাসরি ব্যবহার করলেই হবে।
কত সময় পর্যন্ত ফ্রিজারে টিকে থাকে?
এরিয়েল ক্লেইন বলেন, “যদি বেশিদিন ফ্রিজে রাখতে হয় তবে খোসা ছাড়ানো আস্ত রসুন কোঁয়া বরফে জমানো ভালো। এই পদ্ধতিতে প্রায় বছর খানেক ভালো থাকবে।”
তবে বাটা বা কুচি করা রসুন সাধারণত কয়েক সপ্তাহ হিমায়িত অবস্থায় ভালো থাকে।