টেনে ওঠানোর মতো কাজ করা যাবে না।
সাধাণত হাতেই বেশি হয়। আর কোনো কোনোটায় ব্যথাও থাকে।
নখের কোনায় এরকম বাড়তি চামড়া ওঠার সমস্যাকে বলা হয় ‘হ্যাংনেইলস’। হয়ত বাড়তি চামড়া হিসেবে ঝুলে থাকে বলে এই নাম।
যে কারণে হয়
নানান কারণের মধ্যে বেশি হওয়ার কারণ হল শুষ্ক ত্বক।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নখ-পরিচর্যাকর লিন এনগো বলেন, “ত্বক শুষ্ক হলে অস্বস্তি ও ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যে কারণে নখের গোড়ার দিকে ছালের মতো উঠে গিয়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।”
আরেকটি সাধারণ কারণ হল নখ বা আঙ্গুর ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
এনগো বলেন, “হাত দিয়ে কঠিন কাজ করার ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে কারণে সৃষ্টি হয় ‘হ্যাংনেইলস’।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেইলিং হলিউড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও নখ সজ্জাকর মাজ হানা এই বিষয়ে আরও বলেন, “কিউটিক কামড়ানো বা খোটার কারণেও নখের পাশে ব্যথাযুক্ত চামড়ার কোনা উঠতে পারে।”
অর্থাৎ যে কোনো অবস্থায় কিউটিকলের আশপাশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এই পরিস্থিতির তেরি হয়।
সমস্যার সমাধানের পন্থা
টান দিয়ে উঠিয়ে ফেলার প্রলোভন কাজ করাটা সহজে এড়ানো যায় না। তবে এটা করলে ক্ষতি বেশি।
হানা বলেন, “টানটানি করার ফলে অবস্থা আরও খারাপ হয়। ব্যথাও বাড়বে। এরচেয়ে ভালো পন্থা হল ‘কিউটিকল সফ্টনার’ ব্যবহার করা। যা মৃত চামড়া তুলে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়া নেইল কাটার দিয়ে সাবধানে ছোট বা সমান করে কেটে ফেলা যেতে পারে।”
তবে অবশ্যই নেইল কাটারটা জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। আর নখের আশাপাশে ব্যবহার করতে হবে কিউটিকল তেল। যাতে আর্দ্র থাকে আর সেরে ওঠাটা দ্রুত হয়।
চামড়া ওঠার সমস্যা প্রতিহত করতে
নিয়মিত নখের যত্ন নেওয়াই হল প্রতিরোধের উপায়। তারমানে হল নখ, আঙুল ও হাত আর্দ্র ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
এনগো বলেন, “হাত ধোয়া বা বাসন পরিষ্কারের পর হাতে লোশন ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন সমৃদ্ধ কিউটিকল তেল ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হয়।”
এক্ষেত্রে তেলের মধ্যে কিছুক্ষণ নখ চুবিয়ে রেখে ভালো মতো আর্দ্র হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর শুষ্ক আবহাওয়াতে এই যত্ন বেশি মাত্রায় নেওয়া উচিত।