সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ত্বকের বয়স বেড়ে যাচ্ছে। রাত জেগে ফেসবুকিং-চ্যাট, অনিদ্রা, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ ইত্যাদির প্রভাব পড়ছে শরীর ও ত্বকে। চোখের নিচে বলিরেখা, গালে মেছতার দাগ, অকালে চুল পেকে যাওয়া, ওজন বৃদ্ধি, হাড়ের জোর কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। শুধু তাই নয়, আরও কিছু বদ অভ্যাসের কারণে ত্বক অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাচ্ছে।
অপর্যাপ্ত পানি পান
অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন না। শরীরের প্রয়োজনমতো পানি সরবরাহ না হলে, তার প্রভাব ত্বক ও চুলে পড়ে। পানি কম পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে সহজেই বলিরেখা হতে পারে, চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও, পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, বদহজম ইত্যাদির কারণে শরীরের এনার্জি লেভেল কমতে থাকে।
কোমল পানীয়
কেবল হার্ড ড্রিঙ্কস নয়, অতিরিক্ত কোমল পানীয় বা সফ্ট ড্রিঙ্কসও ত্বকের জন্য ভালো নয়। কোমল পানীয়ে থাকা কীটনাশক ত্বকের কোষে প্রভাব ফেলে। এতে তাড়াতাড়ি চেহারায় বলিরেখা ফুটে ওঠে।
লবণ-চিনিতে ক্ষতি
অত্যধিক পরিমাণে লবণ ও চিনি উভয়েই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিনিতে থাকা গ্লুকোজ কোলোজেন ও ইলাস্টিনকে কমিয়ে ত্বককে নিষ্প্রভ করে। এতে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। অতিরিক্ত লবণও ত্বককে শুষ্ক করে।
ফাস্ট ফুড
অন্যদের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এখন আগের চেয়ে ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা ব্যাপক বেড়েছে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে বার্গার, চাওমিন, স্যান্ডউইচসহ মেয়নেজে ডোবানো চিপস ও বিভিন্ন খাবার প্রায় প্রতিদিন খাচ্ছেন। এতে স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি ত্বক ও চুলেরও ক্ষতি হয়। ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও তেল থাকে, যা স্বাস্থ্যকর নয়। প্রসেসড ফুডে খেলেও একই সমস্যা হয়।
নেশার অভ্যাস
স্ট্রেস কমানোর অজুহাতে ধূমপান বা অ্যালকোহল গ্রহণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। নেশার অভ্যাস ত্বকের কোষ গঠন বন্ধ করে দেয়। এতে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়, ত্বকের বলিরেখা বাড়ে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়।