যেহেতু শসা একটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই ওজন কমাতে শসা খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তাই বলে এটিই যে চর্বি কমানোর প্রধান উপায়, তা নয়। এছাড়া কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।
নিয়ম না মেনে শসা খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অন্য খাবার কম খেয়ে সারাদিন বা অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খেতে থাকলে বা ক্ষুধা লাগলেই শসা খেলে বদহজম, গ্যাসের সমস্যাসহ পেট ফাঁপা, পেট ব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে ওজন কমানোর আশায় সারাক্ষণ শসা খেলেই ঘটবে নানা বিপত্তি। শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে যাবে। কাজ করার শক্তি পাবেন না। রক্ত কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়াও রক্তে গ্লুকোজের অভাবে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শসার একটি উপাদান হল ‘কিউকারবিটাসিন’। কুমড়া, তরমুজ ইত্যাদিতেও এই উপাদানটি পাওয়া যায়। আর এর কারণেই কিছু শসা তেতো হয় এবং এর কারণেই শসা খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে।
ওজন কমানো ছাড়াও শসার আরও বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই শসার উপকার পেতে হলে দরকার নিয়ম মেনে এটি খাওয়া।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাত যেভাবে শসা খেলে উপকার পাবেন—
শসা আপনি আপনার অন্য যেকোনও খাবারের সঙ্গে যোগ করে খেতে পারেন। যেমন— সকালের নাস্তার পর, দুপুরের খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসাবে, বিকালে নাস্তার সঙ্গে, টক দইয়ের সঙ্গে কিংবা রাতের খাবারের সঙ্গে।
অন্য খাবারের সাথে শসা থাকলে খাবার সুস্বাদু হয়। এছাড়া খাবারটা আপনার শরীরে ধীরে ধীরে হজম হয়; যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তখন রক্তের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পূর্ণ খাবারের ক্যালরি আপনার শারীরিক গঠন, বয়স, শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে ঠিক করে নিতে হবে।
মাথায় রাখতে হবে, শসা ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই কথা ঠিক। কিন্তু এটি ওষুধ নয়। তাই শুধুমাত্র শসা খেলেই ওজন কমবে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। উপকার পেতে নিয়ম মেনে শসা খেতে হবে।