জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের মে মাসে। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি যুবদল।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য একটি খসড়া তালিকা করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, আংশিক কমিটির শীর্ষ নেতা তার নিজের লোক ও আর্থিক সুবিধা ব্যতীত অন্য কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করছেন না।
এ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে যুবদলের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে। তাদের মতে, সামনের দিনগুলোতে আন্দোলন-সংগ্রাম আরো কঠিন আকার ধারণ করবে। এসব আন্দোলন-সংগ্রামে একজন সৈনিক হিসেবে মাঠে থাকার জন্য পথ-পদবির প্রয়োজন হয়। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করায় পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: যুবদলের নতুন সভাপতি টুকু, সম্পাদক মুন্না
তারা রাজপথে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা এবং আন্দোলন আরও জোরদার করার দাবি জানান।
চলতি বছরের ২৭ মে জাতীয়তাবাদী যুবদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সভাপতি ও মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মোনায়েম মুন্না সহ-সভাপতি ছিলেন।
নতুন কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয়েছে মামুন হাসানকে। তিনি আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে আগের কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।
১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে শফিকুল ইসলাম মিল্টনকে ও ২নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে গোলাম মওলা শাহীনকে।
সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ইসাহাক সরকারকে ও দফতর সম্পাদক করা হয়েছে হয়েছে কামরুজ্জামান দুলালকে (সহ-সভাপতির পদমর্যাদায়)।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অনলাইনের সাথে কথা বলেবেন না বলে জানান।
তবে বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, একজন শীর্ষ নেতার নিজস্ব লোকের পদায়ন ও আর্থিক সুবিধা না পাওয়ায় ঝুলে আছে যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।
যুবদলের আগের কমিটিও সাড়ে ৫ বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদলের সুপারফাইভ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২৭১ সদস্যের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দলীয় ফোরামে জমা দেয় সংগঠনটি। পরবর্তীতে কমিটির তিন বছর মেয়াদ শেষে ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যুবদলের ১১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ সম্পূরক হিসেবে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ৩৫১ সদস্যের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দলীয় ফোরামে জমা দেয় যুবদল। তবে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।