লেবানন ও হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হয়ে এর বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছে বলে লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধের এই উদ্যোগকে ‘সবচেয়ে আন্তরিক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
কিন্তু এই যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিষয়ে জ্ঞাত একজন কূটনীতিক সোমবার রয়টার্সকে সতর্ক করে বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত হয়নি আর এ কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে আরও সময় লাগতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মার্কিন দূত এমেস হকস্টাইন শিগগিরই বৈরুতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের ইরানপন্থি রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোষ্ঠীটির নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহর পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় অধিকাংশ নেতা নিহত হয়েছেন। বৈরুতে গোষ্ঠীটির মূল দপ্তরগুলো ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের অবস্থানগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালাচ্ছে।
হকস্টাইন গত বছর বেশ কয়েক রাউন্ড নিস্ফল যুদ্ধবিরতি আলোচনা পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু এবার এ বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে বলে সম্প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির সহযোগী আলি হাসান খলিল জানিয়েছেন, লেবানন সোমবার তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঠিয়েছে।হিজবুল্লাহ তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বেরিকে একটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতা করার অনুমোদন দিয়েছে।
খলিল বলেন, “(জাতিসংঘের) প্রস্তাব ১৭০১ এর বিধান পুরোপুরি মেনে আমরা আমাদের সব মন্তব্য উপস্থাপন করেছি।”তিনি জানান, এই উদ্যোগের সাফল্য এখন নির্ভর করছে ইসরায়েলর উপর। ইসরায়েল যদি কোনো সমাধান না চায়, তারা ‘একশটা সমস্যা তৈরি করতে পারে’।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে লেবাননের সর্বশেষ মূল্যায়ন নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।সোমবার বেরি জানিয়েছিলেন, কূটনীতিতে তিনি একটি ইতিবাচক আবহ দেখতে পাচ্ছেন।কিন্তু বেরির সঙ্গে বৈঠক করার পর লেবাননের শ্রমমন্ত্রী মোস্তফা বায়রাম বলেছেন, “বেরি ডিম পাড়ার আগে মুরগি গোনার বিষয়েও সতর্ক করেছেন।”