রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূ-খণ্ডে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ায় হামলা চালানোর জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনের পর এ হামলা চালাল ইউক্রেন।
রাশিয়া বলেছে, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। ধ্বংসাবশেষের কারণে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় এটিএসিএমএস ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে কিয়েভ।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনের পর রাশিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেন হামলা চালালে পারমাণবিক অস্ত্রে প্রত্যাঘাত করবে মস্কো। মেয়াদের শেষ সময়ে থাকা জো বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি এ অনুমোদন দেয়, যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী যদি পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করে রুশ ফেডারেশনের ওপর হামলা চালায়, তাহলে তা পারমাণবিক প্রত্যাঘাতের দিকে যাবে। এ প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা নবায়ন ও অনুমোদন করেছেন।
বার্তা সংস্থা তাস জানায়, নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পেসকভ বলেন, রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক নীতিমালা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে গভীর বিশ্লেষণ দাবি করে। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন ব্যবহার করে কিনা, সেদিকে গভীর নজর রাখছে।ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিন পূর্ণ হয় মঙ্গলবার। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভে পৌঁছালেও পরে প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়।