যুক্তরাজ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমে ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার’ কারণে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও ফ্লাইট বাতিলজনিত ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস প্লেনের অবতরণের সংখ্যা সীমিত করার পর লোকেরা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাজ্যের বাইরে আটকে পড়েছেন।
এয়ারলাইনস ও বিমানবন্দরগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান করার পরও উল্লেখযোগ্য বিলম্ব রয়েছে।
এক যাত্রী বিবিসিকে জানান, তার বিকেলের ফ্লাইট মধ্যরাতের পর পর্যন্ত ছাড়বে বলেও আশা করা যাচ্ছে না।
সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, এরকম ব্যাঘাত কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
হিথ্রো বিমানবন্দর সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিল যে, সময়সূচিতে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে। এটি জানায়, মঙ্গলবার ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে তাদের বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
গ্যাটউইক বিমানবন্দর বলেছে যে, এটি মঙ্গলবার একটি স্বাভাবিক শিডিউলের পরিকল্পনা করছে। তবে যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে তাদের বিমান সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ফ্লাইটের অবস্থা জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিভিন্ন এয়ারলাইন তাদের যাত্রীদের ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়া বা বাতিল হওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে।
সংকটের কারণে যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলো ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল এমন প্রায় ২৩২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যা মোট প্রস্থানের প্রায় ৪ শতাংশ।
আর যুক্তরাজ্যে আসার কথা ছিল এমন প্রায় ২৭১টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যা মোট আগমনের প্রায় ৯ শতাংশ।
নয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই সংকটে যুক্তরাজ্য ছেড়ে যাওয়া এবং যুক্তরাজ্যে আসা আরও অসংখ্য ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
পিএসএন/এমঅাই