জায়েদ খানের দ্বারা সংসার ভাঙার চেষ্টা এবং পিস্তল দিয়ে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত চিঠি দিয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। শুধু তাই নয়, ওই চিঠিতে ওমর সানী জানান জায়েদ মৌসুমীকে বিরক্ত করছে চার মাস ধরে। ১২ জুন, রবিবার এইসব অভিযোগ জানান সানী।
ওমর সানীর অভিযোগের একদিন পরেই মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এক অডিও বার্তায় মৌসুমীকে পরস্পরবিরোধী কথা বলতেই শোনা গেল।
মৌসুমী বলেন, ‘কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে যে, সে আমাকে বিরক্ত করছে- উত্যক্ত করছে! এই জিনিসটা আমি বুঝতে পারছি না। এটা যদিও একান্তই আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল। এখানে জায়েদের খুব একটা দোষ আমি পাইনি। আমাকে ছোট করার মধ্যে অন্যের আনন্দ কেন? যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী ভাই কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন- সেটা আমি বুঝতে পারছি না! আমার কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।’
এদিকে মৌসুমীর এমন বক্তব্যের বিপরীতে মুখ খুললেন ওমরসানী। তিনি বলেন, ‘আমি অত্যান্ত শ্রদ্ধা করি আমার পরিবারকে। ২৭ বছর ধরে শ্রদ্ধা করে এসেছি এবং বাংলাদেশের মানুষও জানে। আমার ব্যাডলাক যে ২৭ বছর পরে এসে আমার শ্রদ্ধার জায়গাটায় কী গুনাহ করলাম আমার পরিবারের সবাই, তা আমরা জানি না। যাই হোক, আল্লাহ মহান, আমি যে কথাগুলো জায়েদ খান সম্পর্কে বলেছি, আমি বারবার একটা কথায় বলেছি আমার এবং আমার ছেলে ফারদিনের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যাভিডেন্স আছে। আমার পরিবারের পাচজন সদস্য, আমি, মৌসুমী, আমার ছেলে ফারদিন, বউমা আয়েশা, মেয়ে ফাইজা লোকজন আছে। তারা স্ট্যান্ডবাই আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমার আত্মীয় স্জন আছে। সবাই আছে। এই ব্যাপারে আমার যা বলার বলে ফেলেছি।’
মৌসুমীর বক্তব্যের বিপরীতে তাকে অসম্মান করা হয় এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না জানিয়ে ওমরসানী বলেন, ‘আমি অত্যান্ত শ্রদ্ধা জানাই আমার ওয়াইফকে, সম্মান জানাই আমার ছেলে মেয়েকেও। আমি মৌসুমীর ব্যাপারে বাজে কোনো মন্তব্য করব না। আমি মনে করি না।’
মৌসুমীর বক্তব্যের জবাব দেওয়া প্রসঙ্গে সানী বলেন, ‘কিন্তু এগুলোর উত্তর আমার এবং আমার ছেলের কাছে আছে ছেলেটার (জায়েদ খান) ব্যাপারে। এর যথেষ্ট প্রমাণ ফারদিন এবং ফাইজার কাছে আছে। ফাইজা এবং ফারদিন বাকি উত্তরগুলো দেবে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে তার মা’র সঙ্গে কী উত্তর দেবে, আর তোমাদেরকেই (সাংবাদিকদের) কী উত্তর দেবে। আমি এ বিষয়ে নীরবতা পালন করলাম।
পি এস/এন আই