বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছেন, নির্বাচন দেওয়ার জন্য। মোদির প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না, কোনো ওয়েস্টের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না ।
বাংলাদেশ চলবে ছাত্র-জনতার প্রেসক্রিপশনে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলতলায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বক্তব্যর কড়া জবাব দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) একটি কথা বলেছেন যে, বাবার আগে ছেলে হাঁটলে দেশ শেষ। অর্থাৎ উনি বুঝিয়েছেন অর্থাৎ ওনাদের আগে যদি তরুণ প্রজন্ম কোনো সিদ্ধান্ত নেয় সেটি দেশকে ধ্বংস করে দেবে। আমি মির্জা আব্বাস সাহেবকে বলতে চাই, আমার বয়স ২৬ বছর। আমার বাবার বয়স ৫২। আর মির্জা আব্বাস রাজনীতি করেন অন্তত ৫৫ বছর। অর্থাৎ আমার বাবার বয়সের চেয়ে বেশি ওনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাতে ওনাদের যে ত্যাগ সেটি অন্তত তাৎপর্যপূর্ণ। মির্জা আব্বাস সাহেবের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, ওনাদের যে কটাক্ষমূলক বক্তব্য আমাদের প্রজন্মভিত্তিক কনফ্লিক্ট তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ প্রীতি কথা বিভিন্ন মিডিয়ার টক শোতে শোনা যাচ্ছে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টির প্রতি মায়া কান্না শোনা যাচ্ছে। যা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সংবিধানকে বাইবেল বা ধর্মগ্রন্থের মত বাস্তবায়ন করেছে।
হাসনাত বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা দেখছি খুনি হাসিনা যে এতিম সন্তানদের দেশে রেখে গেছেন তাদের মধ্যে এক ধরনের খুশির আমেজ বিরাজ করছে। আমরা তাদের বলতে চাই, আমেরিকায় কে নির্বাচিত হলো সেটি দিয়ে বাংলাদেশের পলিসি নির্ধারণ হবে না। বাংলাদেশের পলিসি নির্ধারিত হবে আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের যে দায়টি রয়েছে সেই দায় থেকে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সানসহ সারজিস-হাসনাতের সফরসঙ্গীরা।