১৫ ঘন্টা পর ইপিজেড ভিআইপি লাগেজ কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের ১২টি ইউনিটের সমন্নয় ১৫ ঘন্টা প্রানপন চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে চালাচ্ছে তল্লাশী ও ডাম্পিংয়ের কাজ।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কারখানার ১ নম্বর ইউনিটে হঠাৎ এ আগুন দেখতে পায় শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিক কর্মচারী দিকবিদিগ ছুটোছুটি করতে থাকে। তবে দ্রুত ইপিজেডে থাকা সকল কারখানার শ্রমিকদের ছুটি ঘোষনা দিয়ে বের করে দেয়ার ফলে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। লাগেজ ও ব্যাগ তৈরী কারখানায় লাগা আগুন মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে কারখানাটির সব কিছু পুরে ছাই হয়ে যায়। তবে আগুনের লেলিহা অন্য দিকে ছড়িয়ে পরতে দেয়নী ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক ও ভারতীয় মালিকানাধীন লাগেজ কোম্পানী ভিআইপি-১ এর বাংলাদেশের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এখন আগুন পুরোপুরী নিয়ন্ত্রনে। তবে কারখানাটির পিছনের দিকে কিছু জায়গায় ধোয়া দেখা যাচ্ছে, ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের কাজ এখনও অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে ফেব্রিকস ও প্লাস্টিক থাকায় আগুন নিভাতে সময় রেগেছে। এ প্রতিষ্ঠানের ৮টি কারখানায় কর্মরত ৫৮০০ জন শ্রমিকদের দুই দিনের ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। তবে মানুষের ক্ষতি না হলেও আগুন লাগা এ ভবনের দ্বিতলায় সকল প্রতিষ্ঠানের অফিস কার্যলয় ছিল, তাই অফিসিয়ালী সকল ডকুমেন্ট পুরে ছাই হয়ে গেছে, কিছুই বাচানো সম্ভব হয়নী।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বলেন, সারা রত চেষ্টার পর ভোড় সাড়ে ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায় ফ্যাক্টরীটির ১৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে থানা সাধারণ ডায়েরী করেন ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ।
ফ্যাক্টরীটির এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আশীষ কুমার কর্মকার এ জিডি করেন। এছাড়া বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে জিডিতে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।