বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমকে গ্রেফতারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করা হয়। রোববার (১৩ এপ্রিল) আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মেঘনার বাবা।
এর আগে, গত ১০ এপ্রিল আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার এ আয়োজন করা হয়।