ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার আগে মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদে রেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফাঁকা ঢাকায় যেন চুরি-ডাকাতি না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নেব। নগরবাসীর কাছে অনুরোধ করব, গ্রামে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও গয়না খালি বা মূল্যবান জিনিস বাসায় না রেখে ব্যাংকে, নিকট আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে রেখে যাবেন।
ফাঁকা ঢাকায় বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়ে কমিশনার বলেন, প্রতিটি বাসার নিরাপত্তাকর্মীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি তাদের কাছে আমাদের নম্বর দেবো। সিসি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এবার স্বস্তিতে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে। যেসব রাস্তা ভাঙা আছে, সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
গাবতলী, মহাখালী, সায়দাবাদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আমাদের অবহিত করবেন। আমরা এসব বিষয় মনিটর করব।
মহাসড়কের পাশে গরুর হাঁট বসানোর প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হাইওয়ের পাশে গরুর হাঁট কোনোমতেই বসতে দেওয়া হবে না। কেউ বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গরু নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। গাড়ির সামনে লেখা থাকবে, কোন হাঁটে যাবে। টানাটানি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈদ জামাতের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের জামাতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি এলাকায় ফুট ও মোবাইল পেট্রোল থাকবে। রিজার্ভ পুলিশ থাকবে।