মিয়ানমারে বুধবার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। খবর রয়টার্সের।
দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কেইল শহরের এক অধিবাসী রয়টার্সকে জানান, জান্তা সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে। ওই অধিবাসী জানান, তাকে এক প্রত্যক্ষদর্শী এ তথ্য জানিয়েছেন যিনি পাঁচটি মরদেহের ছবি তুলেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ও বারবার গুলির শব্দ শোনা গেছে। মিজিমা ও ইরাবতী সংবাদমাধ্যম জানায়, পাঁচজন মারা গেছেন ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির সকল স্তরের জনগণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় প্রতিদিনই এসব বিক্ষোভে গুলি চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫৮০ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।
মিয়ানমারের এই জনবিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত তরুণরাই। বিক্ষোভের আয়োজন ও প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই তাদের প্রধান মাধ্যম। জান্তা সরকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা সার্ভিস ব্যাপক বিঘ্নিত করার কারণে বিক্ষোভকারীদের প্রচারণার কাজ বেশ ব্যহত হচ্ছে।
ইন্টারনেটে প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হলো নেটব্লকস। নেটব্লকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাল্প টকার রয়টার্সকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারী থেকে তথ্যের অতল গহ্বরে মিয়ানমার ধাপে ধাপে ধসে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ এখন খুব বেশি রকমের সীমিত এবং অল্প কিছু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছে।’
প্রিন্ট মিডিয়া বন্ধ থাকায় বিক্ষোভকারীরা তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এখন বিকল্প উপায় ব্যবহার করছে। তারা এ-ফোর সাইজের কাগজে দৈনিক খবরের প্যাম্ফলেট তৈরি করে তা ডিজিটালভাবে শেয়ার করার পাশাপাশি ছাপিয়েও জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে।